জীবনে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন গড়িমসি আর অজুহাত মুক্ত জীবনযাপন করা। আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে নিজেই অজুহাতের কাঁটা বিছিয়ে রাখবেন না। গড়িমসি বাদ দিয়ে লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করুন। কাজ না করার পেছনে অজুহাত কী হতে পারে, তা নিয়ে না ভেবে, কীভাবে কাজটা দ্রুত শুরু করে শেষ করা যায়, তা নিয়ে ভাবুন। পরাজিত - ব্যর্থ মানুষেরাই অজুহাতের আশ্রয় নেয়, গড়িমসিতে গা এলিয়ে দেয়। 'আজ করিব না, করিব কাল এমনি করিয়া দিন খালি-ই চলিয়া যায়।'
বিজয়ীরা কাজে নেমে পড়ে, ধাপে ধাপে এগিয়ে চলে। চলার পথে ভুল হলে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
আপনি কাজ না করার অজুহাত তৈরিতে যে মেধা খরচ করছেন, সে মেধা যদি সমস্যা সমাধানে দিতেন, তাহলে এর ফলাফল দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যেতেন। সুতরাং, আপনাকে আপনার 'দুই হাতে' -ই ফিরে আসতে হবে। 'অজুহাত' নামক তৃতীয় কাল্পনিক হাতকে নিজেই কেটে ফেলতে হবে।
কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধান নিয়ে চিন্তা করুন। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। সমস্যার কারণ নিয়ে চিন্তা করা দোষের নয়। কী ধরণের পদক্ষেপ নিলে সমস্যাটি ভবিষ্যতে আর সৃষ্টি হবে না, সেটা নিয়ে কাজ করুন।
দোষারোপ করা বাদ দিন, স্বাভাবিক থাকুন,ইতিবাচক থাকুন।
অজুহাত আর গড়িমসি হাত ধরাধরি করে চলে।
অজুহাতের কারণে কাজে গড়িমসি আসে। আর গড়িমসি সহজ বিষয়কে কঠিন, কঠিন বিষয়কে আরও কষ্টকর করে তোলে। গড়িমসি আর অজুহাত সুযোগকে নিরবে হত্যা করে।
এডওয়ার্ড আরভিং বলেছেন, "গড়িমসি আত্মার অপহরণকারী এবং নরকের নিয়োগকর্তা।"
অজুহাত আর গড়িমসির ভাইরাস থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আর, সে ভ্যাকসিন হলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মস্পৃহা। অজুহাত আর গড়িমসি বাদ দিয়ে ইতিবাচক কাজে নেমে পড়ুন এবং আজ- ই শুরু করুন। তাহলে, সফল হবেন, তৃপ্ত হবেন, আপনার জীবন - গাছ ফুলে - ফলে- ফসলে ভরে উঠবে। আপনার মানবজীবন সার্থক হবে।
পৃথিবী থেকে বিদায় কালে আপনার মুখে থাকবে প্রশান্তির হাসি, চারপাশের মানুষের চোখে টলমল করবে জল।