* ইতিবাচক জীবন - দর্শন : জীবন যাপনের জন্য প্রতিটি মানুষের জীবন - দর্শন থাকে। সফলতার জন্য গড়ে তুলতে হয় positive philosophy of life বা ইতিবাচক জীবন - দর্শন। যার ভিত্তি হবে সৃষ্টিকর্তা মহান প্রভুর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা। পরম প্রভুর প্রতি বিশ্বাসই হচ্ছে সকল ইতিবাচকতার উৎস। এই বিশ্বাসই মানব মনে প্রশান্তি - স্থিতি আনে, সৎকর্মে প্রেরণা দেয়, বিপদে ধৈর্য্য ধারণে সক্ষম করে। বিশ্বাসহীন ব্যক্তি বাতাসের মুখে শুষ্ক পাতার মত মূল্যহীন। তার জীবনের গতি দিকভ্রষ্ট - দিকভ্রান্ত - লক্ষ্যভ্রষ্ট। এরূপ ব্যক্তি স্রষ্টা, নিজের সত্তা ও জীবন সম্পর্কে চিরকালই অজ্ঞ থেকে যায়। ফলে, প্রকৃত শান্তি - প্রশান্তি - সুখ - সাফল্য তার কাছে অধরা থেকে যায়।
* ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ : ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে নেতিবাচকতা দূর করতে হয়। নেতিবাচকতা আসে ভয় আর আত্মবিশ্বাসের অভাবে। ভয় আসে অবিদ্যা আর অজ্ঞাতা থেকে। প্রকৃত জ্ঞান আর আর সাহস আমাদেরকে ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখায়। নেতিবাচক চিন্তা থেকে বাঁচার পথ হচ্ছে, কোন ভালো কাজে, আনন্দময় কাছে নিয়োজিত হওয়া। " If we think positively then we act positively, which leads to a positive outcome. positive thought is straightforward and easy to learn, but it won't happen overnight. Like all strategies it needs to be learnt until it becomes second nature and you do it automatically." মনোযোগ দিন আপনার জীবনের ও আপনার চারিদিকের ভালো ঘটনায়। নেতিবাচক ঘটনাকে স্বীকার করুন কিন্তু তার সাথে বসবাস করবেন না। ভুলে যান সব নেতিবাচক ঘটনাকে।
আপনার ইতিবাচক চিন্তাকে কাজে পরিণত করুন, দৃশ্য মান করুন। অপরের জন্য ইতিবাচক চিন্তা করুন, অন্যের ভালো কাজগুলোর স্বীকৃতি দিন। নিজের ভালো কাজের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং নিজেকে ধন্যবাদ দিন। নিজকে নিজে ইতিবাচক চিন্তা ও কাজে উৎসাহিত করুন। দুনিয়ায় perfect বলে কিছু নেই। সুতরাং, নেগেটিভ কাজ বা ঘটনার মধ্যেও কিছু ইতিবাচকতা লুকিয়ে থাকে, সেটা আবিষ্কার করুন ও কাজে লাগান। ইতবাচক চিন্তার শক্তি ও সম্ভাবনা বুঝতে পারলে সাফল্য ও সৌভাগ্যের দরজা খুলে যায়। সৌভাগ্যের সূর্য উঁকি দেয়।
" positive people are doers, positive in thought and action. ইতিবাচক চিন্তা ইতিবাচক কাজের জন্ম দেয়, ইতিবাচক কাজ আরও ইতিবাচক চিন্তার সৃষ্টি করে ।সুতরাং, অতি ক্ষুদ্র হলেও ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ শুরু করুন।