আসুন স্রষ্টার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা রাখি, মনের ফিটনেস বজায় রাখি। শরীর ও মন নিয়ে মানুষ। শরীরটা দৃশ্যমান কিন্তু মনটা অদৃশ্য। তবে, মনের শক্তিতেই শরীর চলে। শরীরকে মন- ই চালায়। সেকারণে, শরীরের ফিটনেসের মতো মনেরও ফিটনেস জরুরি। জীবনের জটিল আঁকা - বাঁকা পথে চলতে মনের সুস্থতা থাকা চাই । মনের ভাবনাটা গভীর হয়ে চিন্তায় রূপ নেয়। তারপর, চিন্তা বাস্তবে - কর্মে পরিণত করে মানুষ। মনের ফিটনেস না থাকলে ভুল ভাবনায় মানুষ ভুল পথে চলে। দূর্ঘটনা ঘটে।
নানারকম 'চিন্তন প্রক্রিয়ায়' মন কাজ করে। 'চিন্তন দক্ষতা' যার বেশি, তার প্রজ্ঞা বেশি এবং তার জীবন চলার পথে ভুল কম হয় ।
মানুষ নানাভাবে নানারকম চিন্তা করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সৃজনশীল চিন্তা, প্রায়োগিক চিন্তা, ফলনির্ভর চিন্তা, সমালোচনামূলক চিন্তা।
ব্যায়াম বা খেলাধুলার মাধ্যমে যেমন শারীরিক দক্ষতা বাড়ে, তেমনি নানা 'চিন্তন প্রক্রিয়া ' ও কলাকৌশলে মনের ফিটনেস বা দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
যেমন: নিয়মিত পাঠাভ্যাস, ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন, ধ্যান, বিতর্ক, সংলাপ, লেখালেখি, মহৎ ভাবনা ইত্যাদি। কিছু বিষয় আমাদের চিন্তায় বিভ্রম ঘটায়, মনকে বিভ্রান্ত করে, যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সেগুলো হলো:
১. ত্বরিত অনুমান
২. অতি সরলীকরণ
৩. তাত্ত্বিকতার ভুল ভাবনা
৪. অনির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের ব্যবহার
৫. তুলনার জটিলতা
৬. দ্বিচারিতা
৭. ভক্তি - শ্রদ্ধার বিভ্রান্তি ইত্যাদি।
আমাদের মন দুটি। একটি চিন্তা করে, অন্যটি অনুভব করে। আমাদের মনোজগতিক জীবন গঠনে এই দুটি মন- ই ক্রিয়াশীল। চিন্তাশীল মনের ওপর ইতিবাচক আবেগের দৃঢ় অবস্থান হলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে সাড়া দেয়।
জীবনে সাফল্য - ব্যর্থতা, উন্নতি - অবনতি, শাস্তি - প্রশান্তি, প্রেম - ভালোবাসা, ক্রোধ - ঘৃণা সবই এই মন - মস্তিষ্কের খেলা।
মন - মস্তিষ্কের ফিটনেস সহ 'সাফল্য - ব্যর্থতা, সুখ - শান্তি - প্রশান্তি' বিষয়ে হাজারো ভাবনা নিয়ে আমার
নতুন বই 'সাফল্য; সুখ - শান্তি - প্রশান্তি ' শীঘ্রই প্রকাশিত হবে ইনশা আল্লাহ। সকলের দোয়া চাই। সকলের শুভ কামনা অফুরান।