দেহ ও মনকে আপনার নির্দেশ মতো চালাতে শিখুন। তাহলেই আনন্দে থাকবেন এবং সুখী হবেন। কখনো মনের দাস হবেন না। নিজের ভৌত শরীর ও মনকে ঠিকভাবে চালাতে শিখুন। অবাক ব্যাপার হচ্ছে, আমরা আশেপাশের যন্ত্রপাতি চালাতে শিখি কিন্তু নিজের শরীর ও মনকে ঠিকভাবে চালাতে শিখি না। আপনার চিন্তা ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না জানা আপনার সমস্যার মূল কারণ। আপনার নিজের ওপর নিজের প্রভাব না থাকলে অন্যের ওপর প্রভাব ফেলবেন কীভাবে?
দেহ আর পোশাকের সৌন্দর্যের সঙ্গে অন্তরের সৌন্দর্য যোগ হলেই মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে; তার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। বাহিরের সৌন্দর্যের সঙ্গে হৃদয়ের সৌন্দর্য মাখিয়ে দিলে, সকলের সুখের সঙ্গে নিজের সুখ জুড়ে দিতে পারলেই প্রকৃত প্রশান্তি মনের মধ্যে আসন গাড়ে।
বাহিরের ঐশ্বর্যের চেয়ে মনের ঐশ্বর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মনের ঐশ্বর্য মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে। নিজের মনের ওপর নিজ - দখল বজায় রাখুন।
মনের চাবি নিজের কাছে নিরাপদে রাখুন। চর দখলের মতো মনও কিন্তু দখল হয়ে যায়। বিশ্বাসে ভর করে মন - মস্তিষ্কের সঠিক ব্যবহারে জীবনে সুখ - সাফল্য আসে।
মনের আয়না স্বচ্ছ রাখুন। মনের আয়নায় আপনি যা হতে চান, পেতে চান তার ছবি কল্পনা করুন, ফুটিয়ে তুলুন। কল্পিত মনছবির মতো হওয়ার, পাওয়ার বাস্তব ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। তাহলে, সুখ - সাফল্য আপনার পদচুম্বন করবে।
মানুষকে ভালোবাসবেন। অবশ্যই দরদ - মায়া - মমতা - ভালোবাসা আপনার হৃদয়ের একপাশে থাকবে। কিন্তু, ভালোবাসার নামে নিজের মনকে অন্যের কাছে ভাড়া দিবেন না। মনের দখল বজায় রাখুন। দেহনৌকার মাঝি হচ্ছে মন। সেই মাঝি অন্যের কব্জায় গেলে উত্তাল তরঙ্গের নদীতে আপনি কী আপনার গন্তব্যে যেতে পারবেন?
মনের যত্ন নিন, মনের বাগানে নানা রঙের ফুলের সৌরভ ছড়ান। সেখান প্রজাপতি উড়ুক, পাখির গানের কলকাকলিতে মুখরিত হোক কিন্তু বিষধর কালনাগিনী যেন বাসা না বাঁধে।
আসুন, মনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করি। মনের বাগানে রঙ- বেরঙের ফুল ফুটাই।