ইতিবাচক,সুখী ও পরিতৃপ্ত জীবনের জন্য একান্ত জরুরি চাপকে হ্রাস করা, চাপকে চাপে রাখা। আধুনিক - যান্ত্রিক এ সময়ে টেনশন ও স্ট্রেস বা চাপ জীবনের অনুসঙ্গী। নানা রকমের চাপ আর তাপের মধ্যেই আমাদের বসবাস। এই চাপকে পরাজিত করেই সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে হয়।
আপনি হচ্ছেন আপনার জীবনের চালক বা নায়ক, আর চাপ - তাপ হচ্ছে ভিলেন। সুতরাং, চাপ- তাপ - টেনশন কে পদে পদে পরাজিত করে জীবনের জয়গানে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক উৎস থেকে চাপ বা স্ট্রেস আসতে পারে।
ঘর, আফিস, বা সামাজের পরিবেশ, আত্মীয় - বন্ধু - বস - সহকর্মী, পেশা - নেশা, অধিক আশা - প্রত্যাশা - প্রত্যাখ্যান। টেনশন, চাপ বা স্ট্রেস সৃষ্টিতে বর্তমানে অধিক ভূমিকা রাখে অতিলোভ,অতিভোগ,পণ্যদাসত্ব, অনলাইন অসক্তি, অপ্রজনীয় ঋণ, আকাশ- কুসুম কল্পনা বা বিপদের কল্পনা।
স্ট্রেস বা চাপ কিন্তু অবহেলার বস্তু নয়। ছোট ছোট চাপ বড় বিপদের কারণ হতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে অনেক সমস্যা আর অসুখ যেমন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, হাইপারটেনশন, স্ট্রোক, আলসার, আইবিএস, ডায়াবেটিস, পেইন, এলার্জি আরও কতকি। চাপ বা স্ট্রেস থেকে বেঁচে থাকার জন্য যা যা করণীয় : * চাপের মূল কারণ চিহ্নিত করা : যে কারণে আপনি চাপ অনুভব করছেন বা Stress feel করছেন তা সঠিকভাবে ভাবে চিহ্নিত করাই চাপ দূর করার প্রথম ধাপ। * চাপের কারণ পরীক্ষা - নিরীক্ষা করা; কারণ এক বা একাধিক হতে পারে। একাধিক হলে এক থেকে অন্যকে পৃথক করুন। আলাদা আলাদা ভাবে পরীক্ষা করে root cause দূর করার চেষ্টা করুন। * নিজকে সময় দিন : কাজে - অকাজ আমরা সদা ব্যস্ত। নিজের দিকে তাকাবার সময় যেন নেই। কিন্তু , যত ব্যস্ততাই থাক না কেন প্রতিদিন নিজকে একটু সময় দিন। নিজেকে ভালোবাসুন। আপনি ভালো থাকলেই তো অন্যকেও ভালো রাখতে পারবেন। তখন, চাপ কমে যাবে। * ইতিবাচক চিন্তা ও ইতিবাচক কাজ; ইতিবাচকতা চাপকে চাপে রাখার মোক্ষম উপায়। ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ আপনাকে "stress free life" যাপনের সুযোগ করে দিবে। * মনের ভাব ও অনুভূতি প্রকাশ করা : নিজের মনের ভাবকে সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করুন, অনুভূতি নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে শুভাকাঙ্খীর নিকট প্রকাশ করুন। তাহলে, চাপ কমে যাবে। * রাগ থেকে দূরে থাকা : রাগ আর চাপ হাত ধরাধরি করে চলে। চাপ থেকে মুক্ত থাকতে রাগকে পরাজিত করতে হবে বা ইতিবাচক ভাবে রাগকে প্রকাশ করতে হবে। নিজের ভেতরে রাগ পুষে রাখা স্ট্রেস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। * জীবনের দর্শন ঠিক করা : আপনি কোথা থেকে পৃথিবীতে এলেন, কোথায় আছেন, চূড়ান্তভাবে কোথায় যাবেন? এ দুনিয়ায় কী আপনার মূল কাজ? কিসে আপনার জীবনের চূড়ান্ত সার্থকতা তা চিন্তা করে পথনকশা ঠিক করে পথ চলুন। তাহলে, চাপ বা স্ট্রেস আপনার পথ আগলে থাকতে পারবে না।